প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলাধীন অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।

সভাপতির বাণী

image-not-found

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই, যিনি বিশ্ব জগতের সৃষ্টি ও পালনকর্তা । “বিদ্যার্জন প্রত্যেক নর-নারীর জন্য ফরজ”(আল হাদিস) আল হাদিসের আলোকে বলা যায় শিক্ষা মানব জীবনের উন্নয়নের একটি উপায় বা মাধ্যম। এ শিক্ষাই আমাদের সুশৃঙ্খল করে তোলে। বর্তমানে আধুনিক শিক্ষার ব্যাপক বিস্তারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর আত্তসত্তাকে বিকশিত করার দিকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। তাদের মাঝে নিজস্বতাবোধ জাগ্রত করা এবং নিজের আত্মোপলব্ধিকে কাজে লাগিয়ে তাদের একটা নিজস্ব অবস্থান গড়ে তোলাই শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া প্রয়োজন। সাধারণত ৩ ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে আমাদের দেশে আনুষ্ঠানিক (Formal Education) শিক্ষা ব্যবস্থা বেশি প্রচলিত। এ ব্যবস্থার শিক্ষা শ্রেণি ভিত্তিক, সুসংগঠিতো সুনিয়ন্ত্রিত যা নিজস্ব আইন কানুন, রীতিনীতি, বিধিনিষেধ দ্বারা শৃঙ্খলিত।আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার সফল বাস্তবায়নের জন্য উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন বিকল্প নেই। আর এই আধুনিক তথা উন্নত শিক্ষাকে সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে আলোকিত সমাজ গড়ার সুপ্ত ইচ্ছার বাস্তবিক রূপরেখা আঁকতে গিয়েই মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে, এলাকার সুধিজন ও নিকটজনদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা "রামকৃষ্টপুর চৌদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়" এর সুদূরপ্রসারী জাত্রা শুরু করি। শিক্ষানবিশ বিগত বৎসরগুলোতে জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে ,সৃজনশীল পদ্ধতির সঠিক প্রয়োগ এবং তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে "রামকৃষ্টপুর চৌদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়" আজ স্বমহিমায় অত্র এলাকার একটি অন্যতম বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এ যাত্রাপথে নানা সামাজিক, অর্থনৈতিক এমন কি প্রাকৃতিক বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে সামনের দিকে এগুতে হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টির শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমরা যারা এর সাথে অতপ্রোতভাবে যুক্ত আছি তাদের উদ্দেশ্য শুধু "রামকৃষ্টপুর চৌদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়" এ’ নামটির মাইলফলক রেখে যাওয়া নয় বরং আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীবের এই কারখানার নিরলস গতিকে যেন সমাজ ধরে রাখতে পারে, নিয়ে যেতে পারে এ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কে চরম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে। আর এর জন্য প্রয়োজন ছাত্র/শিক্ষক/অভিভাবক সকলের নিরলস প্রচেষ্টা । আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশ ও জাতির কর্ণধার । তাই তাদের কে সুযোগ্যরুপে গড়ে তোলা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্বও বটে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি শিশুদের পরিপুষ্টভাবে মনোদৈহিক বিকাশে সাহিত্য ও খেলাধুলার (সহশিক্ষা কার্যক্রম) নিয়মিত চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। যা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু থেকেই নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। অত্র প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহন করে আজ অনেকেই বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হয়ে দেশ সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে চাই আজকের সুকোমল শিক্ষার্থীরাও তাদের পথ অনুসরণ করবে এবং দেশ ও বিশ্বমানবতার উন্নয়নে স্বাক্ষর রাখবে ইনশাআল্লাহ।আশা রাখি এ প্রতিষ্ঠানের এক ঝাঁক তরুণ দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী এটিকে "রাজশাহী" বোর্ডের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবেন। আমি দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করি আমাদের এই প্রাণতুল্য প্রতিষ্ঠানটি ক্রমাগত তার উচ্চতর শিক্ষার মান উন্নয়নের দিকে ধাবিত হয়ে আরো গর্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। আর এর মধ্য দিয়েই প্রতিফলিত হবে "রামকৃষ্টপুর চৌদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়‌‌" প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

সার্বিক অর্থে আমাদের শিক্ষার মানকে আলোর পথে উদ্ভাসিত করে তুলতে হবে। এ আশায় আশান্বিত হয়ে আমরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। আমাদের এ দুর্গম যাত্রার সাথী হতে আহ্বান জানাই আমাদের অভিভাবক শুভানুধ্যায়ী সকলকে। যেন আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে মানসম্মত শিক্ষার সাথে সাথে নীতিনৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ উপহার দিতে পারি।

সবার সুন্দর ও সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি, “ আল্লাহ্‌ আমাদের সকলের প্রতি সহায় হোন ”। আল্লাহ্‌ হাফেজ।

ধন্যবাদান্তে

মোঃ রেজাউল আশরাফ
সভাপতি
রামকৃষ্টপুর চৌদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়

প্রধান শিক্ষকের বাণী

image-not-found

"বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম"
‘‘পড় তোমার প্রভুর নামে’’ পড়াশোনা তথা শিক্ষা মানবজাতির জন্য স্রষ্টা প্রদত্ত উপহার। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার , শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষা দ্বারাই পরিবার, সমাজ, দেশ উন্নতি লাভ করে। চলমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশপ্রেমিক, নৈতিকতা ও আধুনিক তথা বৈশ্বিক নাগরিক গড়ে তোলা বর্তমান সরকারের শিক্ষার রূপরেখা । সে লক্ষ্যেই আমরা, "রামকৃষ্টপুর চৌদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়" শিক্ষা পরিবার কাজ করে যাচ্ছি। পরিচালনা পর্ষদ, দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী ও অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান প্রধান যে কোনো প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে যাওয়ার প্রধান শক্তি। "রামকৃষ্টপুর চৌদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়" তেমনি এক বলিষ্ঠ পরিচালনা পর্ষদ ও দক্ষ শিক্ষমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যা আমরা বিনয়ের সাথে দাবি করতে পারি।

প্রকৃতির সন্তান মানব শিশুকে পরিশুদ্ধ হতে হয়, পরিপূর্ণ হতে হয়, স্বীয় সাধনায়। আর শিক্ষা হলো সেই সাধনার মূলমন্ত্র । শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হলো আচরণের কাঙ্খিত পরিবর্তন। শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষাদানে আমরা বদ্ধপরিকর ।

"রামকৃষ্টপুর চৌদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়" সহশিক্ষা, সাংস্কৃতিক, খেলাধূলা,শিক্ষাসফর সহ ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে তাল মিলিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ । যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ সেরা প্রতিষ্ঠানের কাতারে এগিয়ে যাবে, এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আমাদের প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালী পরিচালনা পর্ষদ ও দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী কাঙ্খিত সাফল্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস । যাদের আন্তরিকতায় ধাপে ধাপে এগিয়ে চলছে এই বিদ্যাপিঠ তাদের সকলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদান্তে

মোঃ আকরামুজ্জামান
প্রধান শিক্ষক
রামকৃষ্টপুর চৌদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়